মহানগরের খুব কাছেই খুব দ্রুত আধুনিক হয়ে উঠতে থাকা কোনও এক না-গ্রাম না-শহর। সেখানে মাইলের পর মাইল জুড়ে বিছিয়ে থাকা মাছের ভেড়ির পাশেই আছে চকচকে কম্পিউটার শেখার ইনস্টিটিউট। সেখানে কাটাতেলের কালো ধোঁয়া-ওড়ানো ভ্যানোগাড়ির সঙ্গে সদর্পে চলে দেড়-দু’লাখি বাইক।
এমন এক দুনিয়ার বাসিন্দাদের যাবতীয় ভালোমন্দের দায়িত্ব এককালে ছিল প্রবল প্রতাপী জীবন নস্করের হাতে। জমিদার না হয়েও যে নাকি ছিল জমিদারের বাড়া। তার মৃত্যুর পর সেই দায় বহন করে চলেছে তারই সুযোগ্য পুত্র বিমল ওরফে বাচ্চু নস্কর। কোনো সাহায্যপ্রার্থীকে তার দরজা থেকে খালি হাতে ফিরতে দেখেনি কেউ। সে যেমন সাহায্যই হোক।
কিন্তু আজকাল এই না-গ্রাম না-শহরের আকাশে কী যেন এক গ্রহণের কালো ছায়া ঘনিয়ে আসছে মনে হয় চারদিক থেকে।
এই তো কিছুদিন আগেই নামমাত্র বিবাহে বিধবা কল্পনাকে স্কুলের চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়েছিল বিমল নস্কর। কিন্তু হঠাৎই একদিন আত্মহত্যা করল কেন কল্পনা? কানাঘুষোয় যা শোনা যায় তা কি সত্যি?
কল্পনার দাদা জয়ন্ত — একসময়ের তুখোড় ছাত্র—অমন আধপাগলা বাউন্ডুলে হয়ে গেল কেন?
কল্পনার ছোটবেলার বন্ধু ঝুমাই বা কেন অমন থেকে থেকে আঁতকে উঠছে আজকাল?
আরও খারাপ, আরও ভয়ানক কিছু কি ঘটতে চলেছে এর পর?
Reviews
There are no reviews yet.