“কালো রঙে আঁকা” উপন্যাসের পটভূমি নিঝুমপুর নামে এক প্রত্যন্ত জনপদ। ৩৭০ ধারা বিলুপ্তিকরণের পরিপ্রেক্ষিতে ভূস্বর্গ কাশ্মীরে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষের আগুন জ্বলে ওঠে তার আঁচ এসে পড়ে সেই শান্ত মফস্সল শহরেও। সাহিত্যপাঠের ক্ষেত্রে অ্যালিয়েনেশন বা চিন্তাসূত্র বহুদূরের দুই দেশ বা সময়কে যেমন মিলিয়ে দেয়, এই উপন্যাসেও তেমনি মিশে গেছে নিঝুমপুর ও কাশ্মীর। মিশে গেছে প্রেম ও অপ্রেম, কৃতজ্ঞতা ও কৃতঘ্নতা, বিশ্বাস ও বিশ্বাসের বিহন, আনুগত্য ও অসূয়া, ঈর্ষা ও ভালবাসা— মানুষের মনের বৈপরীত্যে ভরা নানা রঙের প্রবৃত্তি।
“খড়ির গণ্ডি” নামের দ্বিতীয় উপন্যাসটিতে আঁকা হয়েছে করোনা আক্রান্ত দিনগুলির ছবি। বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের দূরদূরান্ত থেকে নিরন্তর পায়ে হেঁটে নিজভূমে ফেরার প্রাণান্তকর লড়াইয়ের কথা। প্রান্তিক মানুষের পাশাপাশি সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের যাপনে সেই কালান্তক সময় কীভাবে ছাপ ফেলেছিল তা-ও ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। এক জোড়া ঠুকঠুকিয়া পাখি এই উপন্যাসে এসেছে গূঢ় ব্যঞ্জনা নিয়ে। পাঠক নিজের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে চিনে নিতে পারবেন অতিমারীর সেই ভয়ংকর দিনগুলোকে।
Reviews
There are no reviews yet.