মানুষ আসলে গাছের মতো। তারও শিকড় থাকে। যেখানে যেমন জল-মাটি পায়, যতটুকু রোদ, যতটা বাতাস,- যত্নে-অযত্নে চেতনে-অবচেতনে তার সেভাবেই বেড়ে ওঠা।- যখন যা পায়, যেটুকু পায়, নিজের শিকড়ে আঁকড়ে ধরে। কিন্তু, সবটুকু কি ধরা দেয়? হয়তো দেয়, হয়তো বা…! তবু কোনো এক অলীকপুরের উদ্দেশ্যে চলতে চলতে দিনের শেষে কোনো এক নির্জন পান্থশালায় দুদণ্ড জিরিয়ে নেওয়া সময় খুঁজে দেখতে চায় তার আজীবনের সঞ্চয়। আসলে মানুষ যখন জন্মায়, হাত মুঠো করেই জন্মায়। তখন মুখের পানে চাইলেই মনে হয়, যেন ওই মুঠোর মাঝেই জমে আছে দিনদুনিয়ার সবটুকু ভালোবাসা, সমস্ত আনন্দ। তারপর সেই দুনিয়াই তাকে দুনিয়াদারির পাঠ পড়ায়। সে মুঠো খোলে। অবাক হয়ে দেখে, পড়ে আছে কিছু হিজিবিজি দুর্বোধ্য রেখা…। এই সব সাধারণের মেঠো কাব্য কবে আর ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েছে! কালের সুরম্য প্রাসাদেও বোধহয় তারা অবাঞ্ছিত। বরং বেঁচে থাকে এক গুণিনের কুঁড়েঘরে, বেশ্যাপল্লিতে, গঙ্গার ঘাটে, গেঁয়ো মাজারে, পঞ্চানন্দের মন্দিরে, হয়তো বা শ্মশানের নিস্তব্ধতায়। সেই ফাঁকে যতটুকু সঞ্চয়, ততটুকুই যে-যার হাতের পাঁচ।…
Reviews
There are no reviews yet.