Sale!
, ,

Chandra Jatak চন্দ্র জাতক

Original price was: ₹277.00.Current price is: ₹222.00.

+ Free Shipping

আদিকাল থেকে বর্তমান ভারতবর্ষে পলিগ্যামাস/পলিঅ্যান্ড্রাস সোসাইটি (বহুবৈবাহিক সমাজ) থাকলেও যৌথ যৌনাচার কিন্তু কখনোই আইনসম্মত ছিল না। এমনকি মনুসংহিতা থেকে মহাকাব্যগুলিতেও বহুবিবাহর কথা বলা হলেও একত্রে লিপ্ত থেকে তিন বা ততোধিক পুরুষ বা মহিলা যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে–এ ঘটনা ভয়ানক পাপাচার বলেই নির্ধারিত হয়েছে।
কিন্তু এমন অনুপম ভাস্কর্যে ঋদ্ধ অত বড়ো বড়ো প্যানেলগুলিতে তাহলে সমাজ অস্বীকৃত পাপাচার উৎকীর্ণ করা হল কেন? এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে ওই প্যানেলের চারটি করে মূর্তি হয়তো একটি যৌনাচার নয়। অত বড়ো প্যানেলের প্রসারতা দেখে হয়তো কোনো ভাস্কর নিজের কোনো একটি বিশেষ ধরনের শিল্পকর্ম করার লোভ সামলাতে পারেননি। একবার এমন একটি শিল্পকর্ম উৎকীর্ণ হওয়ার পর, তৎকালীন রাজাদের অনুমোদন এবং সাধুবাদ পেয়ে, এই ধরনের প্যানেল নির্মাণ রীতি হয়ে দাঁড়ায়।
এখানে এই বিশেষ ধরনের শিল্পকর্ম বলতে কী বোঝাচ্ছে একটু বিশদে বলা যাক। আজকাল যেমন ফটোশপে বিভিন্ন ছবি মিশিয়ে একটি কোলাজ তৈরি করা হয়, এক্ষেত্রেও হয়তো কোনো ভাস্করের মাথায় প্রথম পরিকল্পনা আসে মন্দিরগাত্রের প্রশস্ত প্যানেলে কোলাজ তৈরির পরিকল্পনা। পরবর্তীকালে অন্য ভাস্কররা সেই মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ অবলম্বন করে নির্মাণ করেন অন্য প্যানেলগুলি।
সেক্ষেত্রে চারটি আলাদা মূর্তি আসলে একটি যৌনাচারের দৃশ্য আদৌ নয়, এমনও হওয়া সম্ভব। কেবল বিভিন্ন বিভঙ্গের দুটি মূর্তি (পুরুষ বা নারী, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বমেহন বা হস্তমৈথুন রত/রতা) দুইপাশে আলাদা আলাদা অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে দণ্ডায়মান, মধ্যে মৈথুনরত মিথুনমূর্তিটি অন্য একটি অর্থ প্রকট করছে। এবার চারটি মূর্তি একত্রে, যেন একটি কোলাজ—মিলিতভাবে গোটা কোলাজটি আলাদা একটি আধ্যাত্মিক অর্থ বহন করছে, এমনটাও হওয়া সম্ভব।

Writer

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.

Shopping Basket
Scroll to Top